রানা ইসলাম বদরগঞ্জ রংপুর
রংপুরে বদরগঞ্জে এক ব্যক্তিকে মারধর করে টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে। গত বৃহস্পতিবার ২৩জানুয়ারী উপজেলা রাধানগর ইউনিয়ন ধোলাইঘাট সেতুর উপরএ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী স্বপন চন্দ্রের পিতা হরিকান্ত রায় বাদী হয়ে থানায় বকুল চন্দ্রকে প্রধান করে সাতজনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এই সাতজনের বাড়ি দিলালপুর প্রামানিক পাড়া গ্রামে। আর ভুক্তভোগী স্বপন রায় রামনাথপুর ইউনিয়ন হিন্দু পাড়া গ্রামে হরি কন্ত
রায়ের ছেলে।
থানায় লিখিত অভিযোগ ও ঘটনাস্হল সরজমিন সূত্রে জানা গেছে, স্বপন ঘটনার দিনে ঢাকায় কাজের জন্য বাড়ি থেকে বের হোন সন্ধ্যা ৬টার দিকে। অটো ভ্যান যোগে তারাগঞ্জে চৌপথী থেকে ঢাকার বাস ধরবেন।৭টার দিকে ধোলাইঘাট ব্রিজের উপর স্বপন উপর হামলা চালায় বকুলসহ বাকি ৬জন ব্যাক্তি। একপর্যায়ে স্বপনকে তারা এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি মারতে থাকে। মারধরের সময় স্বপন চিৎকারে এলাকার দোকানদার পথচারীরা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা স্বপনকে ফেলে তার পকেটে থাকা গরু বিক্রি করা ৬০হাজার টাকা কেড়ে নিয়ে চলে যায় পরে এলাকার লোকজন আহত স্বপনকে উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য অটো ভ্যানে তুলে দেন।
ধোলাইঘাট বাজারে এক দোকানী বলেন, ঘটনার সময় ধোলাইঘাট সেতুর উপর চিৎকার শুনে এগিয়ে এসে দেখি এক ব্যাক্তিকে কয়েকজন ব্যাক্তি মিলে মারধর করছে। পরে তাদের ছাড়াছাড়ি করে দেই। পরে শুনি ঐ ব্যক্তির নাম স্বপন। তাকে হাসপাতালে ভ্যানযোগে পাঠায় দেই।
ঘটনার সময় অদূরে থাকা এক অটো ভ্যান চালক উজ্জ্বল দাস বলেন, স্বপনকে যেভাবে মারডাং করছে ওরা। এটা অমানবিক ঘটনা। মানুষ হয়ে মানুষকে এভাবে মারে আমি এই প্রথম দেখলাম। পরে আমরা সবাই মিলে সামনে গেলে হামলাকারীরা তাকে ফেলে চলে যায়।
ভুক্তভোগী স্বপন চন্দ্র রায় বলেন, আমি অটো ভ্যান করে তারাগঞ্জে যাওয়ার সময় বকুল,হ্যামবাবুসহ বাকি ৫জন ধোলাইঘাট ব্রিজে আগে থেকে ওৎপেতে ছিলো।তারা আমাকে খুব মারে।এরপর আমার অন্ডকোষে সজোরে আঘাত করে। আমি তীব্র ব্যাথায় ছটফট করছি। এছাড়াও আমার গরু বিক্রি করা ৬০হাজার টাকা হ্যামবাবু কেড়ে নেয়। আমি সবার উপযুক্ত বিচার চাই।
অভিযোগ অস্বীকার করে হ্যাম বাবু বলেন, টাকা কেড়ে নেওয়া মারধরের কোন ঘটনা ঘটেনি। মূল ঘটনা হল ৯মাস আগে এই স্বপন আমাদের গ্রামে আসে এক অনুষ্ঠানে। সেখানে একজন সাগরিকা নামে বিবাহিত মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে । পরবর্তীতে স্বপন সাগরিকাকে কৌশলে ঢাকায় নিয়ে যেয়ে কিছুদিন পর তাকে ঢাকা থেকে বদরগঞ্জে পাঠিয়ে দেয়। এঘটনায় মেয়েটির মা স্বপনের নামে একটি জিডি করেছিল।
বদরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক এসআই চিন্ময় বলেন, এঘটনায় হরিকান্ত রায় নামে এক ব্যক্তির অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।